ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

গ্রহাণুতে `বোমা` মারবে নাসা! 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৪, ৩১ আগস্ট ২০২২

Ekushey Television Ltd.

ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা সংক্ষেপে ডার্ট। স্পেস ক্রাফটের মাধ্যমে এই প্রথমবার একটি গ্রহাণুর সঙ্গে ইচ্ছাকৃত সংঘর্ষ করতে চলেছে নাসা। আর তারাই এবার গ্রহাণুতে বোমা মারতে চলেছে, যার লাইভে স্ট্রিম করবে নাসা। কিন্তু কবে এবং কেন?

জানা গেছে, গত ২৪ নভেম্বর ডার্ট মহাকাশযানটি ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস রওনা দেয়। স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়। সেটিই আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ডার্ট আছড়ে পড়বে 'ডিমারফস' গ্রহাণুর বুকে। আর সেটা লাইভে স্ট্রিম করবে নাসা।

কিন্তু নাসা হঠাৎ গ্রহাণুতে 'বোম' মারতে চাইছে কেন?

পৃথিবীর দিকে যদি কোনওদিন কোনও গ্রহাণু ধেয়ে আসে, তবে তার গতিপথ বদলে দেওয়ার প্রস্তুতিই এই মিশনের উদ্দেশ্য। এই মিশনে দেখা হচ্ছে, বোম মেরে কীভাবে কোনও গ্রহাণুর গতিপথ বদলে দেওয়া সম্ভব।

সেই কারণেই এটিকে গ্রহ প্রতিরক্ষা মিশন বলছে নাসা। ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা সংক্ষেপে ডার্ট।

ডার্ট মহাকাশযানটি মেরিল্যান্ডের জনস হপকিন্স অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি দ্বারা নির্মিত এবং নিয়ন্ত্রিত। প্রকল্পটি নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স  কোঅর্ডিনেশন অফিস দ্বারা পরিচালিত।

মিশনের মূল লক্ষ্য ডিমারফস নামক একটি গ্রহাণু। এই দুই অংশ-যুক্ত একটি গ্রহাণুর অংশ। ডিমফোস হল একটি ছোট 'মুনলেট' যা ডিদিমোস নামে একটি বড় গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করে। ডিদিমোস প্রায় ৭৮০ মিটার জুড়ে রয়েছে। অন্যদিকে ডিমফোস ১৬০ মিটার।

নাসা এবং এর আন্তর্জাতিক সহযোগীরা ক্রমাগত পৃথিবীর নিকটস্থ বস্তুর (NEOs) নজরদারি করেন। এই ধরনের 'বস্তুর' মধ্যে রয়েছে গ্রহাণু এবং ধূমকেতু। পৃথিবীর কক্ষপথের ৫০ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে আসে এমন সবকিছুই নজরে রাখা হয়। 
বিজ্ঞানীদের অনুমান, কোটি কোটি গ্রহাণু এবং ধূমকেতু আমাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আরএমএ
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি